reorder disabled_by_default

সাপের কামড়ে একমাত্র চিকিৎসা অ্যান্টিভেনোম

Update : 24 Jun 2024 - 8:20 AM    |     পঠিত হয়েছে: 28 বার

নিজস্ব প্রতিবেদক :

এ বছর হঠাৎ করেই দেশজুড়ে বেড়েছে রাসেলস ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া সাপের উপদ্রপ। গেলো জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত কেবল রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজেই এই সাপের কামড়ে চিকিৎসা নিয়ে ৫০ জন। এদের মধ্যে ৪৫ জন সুস্থ্য হলেও পাঁচ জন মারা গেছে। চিকিৎসকদের মতো, সাপের কামড়ে একমাত্র চিকিৎসা অ্যান্টিভেনোম।

চিকিৎসকরা বলছেন, রাসেলস ভাইপারের কামড়ে অ্যান্টিভেনোমের কার্যকারিতা অন্তত ৮০ শতাংশ। তবে অ্যান্টিভেনোম দেওয়ার পরও অন্তত ২০ শতাংশ রোগী মারা যায়। এর মূল কারণ, দেরিতে হাসপাতালে আসা। রাসেলস ভাইপারের বিষ মানুষের দেহের রক্তকে খুব দ্রুত জমাট বেঁধে ফলে। তাই যতো দ্রুত হাসপাতালে আনা যাবে রোগীর বাঁচার সম্ভাবনা ততো বাড়বে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, রাসেলস ভাইপারসহ বিষধর সাপের কামড়ে একমাত্র চিকিৎসা অ্যান্টিভেনোম। দেশে দুই ধরণের অ্যান্টিভেনোম দেয়া হয়। তার একটি দেশেই তৈরি, অন্যটি ভারতে থেকে আমদানি করা। এই অ্যান্টিভেনোমগুলো চার ধরণের বিষধর সাপের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। কিং কোবরা, রাসেল ভাইপার (চন্দ্রবোড়া), ক্রেট (শঙ্খিনী বা ভোতালেজ কেউটে বা ডোরা কাল কেউটে) ও স-স্কেলড ভাইপার (বাংলাদেশে এই প্রজাতি নেই বললেই চলে)।

অধিদপ্তরটির পরিচারক ডা. রোবেদ আমীন বলেন, অ্যান্টিভেনোম ৮০ ভাগ ক্ষেত্রে কাজ করছে। কিন্তু ২০ ভাগ ক্ষেত্রে যেটাকে আমার কাজ হচ্ছে না বলছি তার অবজারভেশনে দেখলাম, এর মূল কারণ হাসপাতালে রোগী দেরিতে আসা। যদি দ্রুত সাপে কাটা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া যেতো তাহলো হয়তো মৃত্যু হতো না।

এখন পর্যন্ত দেশের ২৭টি জেলায় রাসেল ভাইপারের বিস্তার মিলেছে। সাপের বিস্তার ও রোগীর সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন উপজেলা ও জেলা হাসপাতালে এরিমধ্যে অ্যান্টিভেনোম পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে জন সচেতনতায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরও এগিয়ে আসার আহবান জানালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্যদের অনুরোধ করবো, আক্রান্ত রোগীদের যতো দ্রুত হাসপাতালে আনার ব্যবস্থা করে দেবেন। কেননা হাসপাতালে রোগীরা দ্রুত এলো তাদের কোনো ক্ষতি হবে না।

সাধারণ সাপের কামড়ে দুই থেকে তিন ডোজের অ্যান্টিভেনোমেই রোগী সুস্থ হয়। তবে রাসেলস ভাইপারের মতো বিষধর সাপের ক্ষেত্রে এর আট থেকে ৯ ডোজ পর্যন্ত প্রয়োজন পড়ে।

 

 

 

এই বিভাগের আরও খবর